বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, নতুন করে টাকা ছাপিয়ে আর কোনো দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে না। তবে আন্তঃব্যাংকের মাধ্যমে সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে এবং সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করবে।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকার্স মিটিং’ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দেশের সাত-আটটি ব্যাংকের কারণে সব ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, দেশ থেকে আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। এতে এসব ব্যাংকের তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা সীমিত পরিসরে তারল্য সাপোর্ট দিতে চাই। সরকার আমানতকারীদের কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়াবে। তবে তারল্য সংকট কাটাতে পুরো সাপোর্ট দিতে হলে দুই লাখ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে বহুগুণ।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা কিছু সীমিত তারল্য সাপোর্ট দিতে চাই ব্যাংকগুলোকে। এটা আন্তঃব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হবে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে। এসব ব্যাংকে সমস্যা বহুদিন ধরে ছিল, আমানতকারীরাও জানতো। আমরা আমানতকারীদের স্বার্থটা দেখব, যেন তারা অর্থ ফিরে পান।
আমানতকারীদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, আমরা আমানতকারীদের অনুরোধ করব- আপনারা একসঙ্গে টাকা উত্তোলন করবেন না। আপনাদের প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করুন। আমাদের কিছুটা সময় দিন। আশা করি ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াবে।