রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক কিংগা ওয়াংচুক। এর আগে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মোরসালিনের গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ভুটান সফরের স্মৃতিটা সুখকর হলো না বাংলাদেশের। সুযোগ নষ্ট হলো র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতিরও। উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি তপু-মোরসালিনরা। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এলোমেলো ছিল সোহেল রানারা। বল পজেশনটাও ছিল না ঠিকঠাক। ভুল পাসে ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ে পজেশন হারিয়েছে কাবরেরার শিষ্যরা।
তবে দুই-একটি সুযোগও এসেছিল। সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি ফাহিম-ইমনরা। ম্যাচের একাদশ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু ডি-বক্সে নিজের নিয়ন্ত্রণে বল পেয়েও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন শাহরিয়ার ইমন। সোহেল রানার লম্বা পাস দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকেন পড়েন তিনি। কিন্তু গোলবারের খুব কাছে গিয়েও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি। তার নেয়া নিচু শট দৌড়ে এসে ঠেকিয়ে দেন ভুটানের ডিফেন্ডার।
অন্যদিকে আক্রমণে শুরু থেকে বেশ ধারালো ছিল স্বাগতিকরা। অষ্টম মিনিটে তাদের প্রথম প্রচেষ্টা রুখে দেয় বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ৩৩তম মিনিটে মিতুল মারমার নৈপুণ্যে গোল হজম থেকে রক্ষা পায় কাবরেরার শিষ্যরা। ডান প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ভুটানের মিডফিল্ডার শেলথ্রিম নামজিয়েল। ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে সেটি ঠেকিয়ে দেন মিতুল।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুদল ছিল বেশ ছন্নছাড়া। তাতে ম্যাচ এগোচ্ছিল গোলশূন্য ড্রয়ের পথে। তবে যোগ করা সময়ে সুযোগ পেয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ভুটান। বক্সে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সতীর্থের হেড অরক্ষিত অবস্থায় গোলবারের সামনে পেয়ে যান ওয়াংচুক। ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে মিতুলকে পরাস্ত করে দারুণ এক শটে জালে জড়ান তিনি। ভুটানের গ্যালারি ভাসে জয়ের আনন্দে। বাংলাদেশকে হতাশ করে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।